সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু (Sundarbans Natural Honey) এর চাহিদা বরাবরই ভিন্ন। খাঁটি মধু বলতেই সবার আগে এর কথাই মাথায় আসে। প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের জন্য আমাদের মৌয়ালরা সুন্দরবনের গহীনে চলে যায়। বছরের বিভিন্ন সময় সংগ্রহ করা গেলেও ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস এর জন্য উৎকৃষ্ট সময়। মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুতে খলিসা ফুলের নির্যাস বেশি থাকে। এই প্রাকৃতিক চাকের মধু অনেক পাতলা এবং সুস্বাদু হয়।
সুন্দরবনের খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যঃ
- সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু দেখতে সাধারণত হালকা হলুদ বর্ণের (Light Amber) রঙের হয় (তবে সময়, চাক ও ফুল ভেদে কিছুটা হালকা (Light) বা গাড়ো (Dark) হতে পারে)।
- সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু খেতে খুবই সুস্বাদু, হালকা টকটক মিষ্টি লাগে।
- কিছু মানুষের কাছে- সুন্দরবনের মধু অনেকটা আখের রসের মতো লাগে।
- সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হবে।
- সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- একটু ঝাঁকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়ে যাবে। তবে শীতকালে ফেনা হওয়ার প্রবণতা কম দেখা যায়।
- সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের খাটি মধু আমরা কখনই জমতে দেখা যায়নি। হোক সেটা ফ্রিজের ভেতরে বা বাইরে।
- এই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- হাতে চাক কাটা পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা মধুর উপরে হলুদ রঙের পোলেন জমা হয়। এটাকে অনেকে গাদ জমা বলে থাকেন।
- এই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু খেতে কিছুটা ঝাঁঝালো হয় ।
Reviews
There are no reviews yet.